মোঃ শরিফুল ইসলাম মাহফুজ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমীন এ রায় দেন। এসময় প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেয়া হয়।
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করে অধ্যাদেশ জারির পর এটিই প্রথম ফাঁসির রায়।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাগর চন্দ্র, সুজন মনি ঋষি, রাজন, সঞ্জিত ও গোপী চন্দ্র সিং।
সত্যতা নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)অ্যাডভোকেট নাসিমুল আকতার বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্ম্পক হয় মাদরাসা ছাত্রী রোজিনা খাতুন আর সাগর চন্দ্রের। এরই সূত্র ধরে ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি ভূঞাপুর উপজেলার সালদাইর ব্রীজ এলাকা থেকে মাদরাসা ছাত্রী রোজিনা খাতুনকে অপহরণ করেন সাগর চন্দ্র। অপহরণ করে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায় মধুপুরের অপর আসামী রাজনের বাড়িতে। সেখানে দুইদিন আটকে রাখার পর ওই এলাকার এক নদীর পাড়ে নিয়ে ১৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ হয়ে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তারা। এরপরও জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বেলা বাড়ার পর ছাত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে সে তার ভাইকে ফোন দেয়। ছাত্রীর ভাই মধুপুর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভুঞাপুর থানায় এনে ও ধর্ষিতা ছাত্রী রোজিনা বাদি হয়ে ওই ৫ ধর্ষকের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন. এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার সময় সঞ্জিত ও গোপী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি সাগর চন্দ্র, সুজন মনি ঋষি ও রাজন জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করেছেন।
তিনি আরো বলেন এ মামলায় ম্যাজিস্ট্রট, চিকিৎসক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদী ভিকটিমসহ মোট দশজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দিলেন আদালত। মামলায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও গোলাম মোস্তফা।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা রায়ে অসন্তোষ. প্রকাশ করে বলেন ন্যায় বিচার পেতে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।